বাসররাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পালাল বউ, সিসিটিভিতে ধরা

বাসররাত প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর এক পরম পাওয়া। সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নারী-পুরুষ একে অপরের সঙ্গে একটি বন্ধনে আবদ্ধ হন, এরপর আসে এই রাত। কিন্তু বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল যখন একে অপরের মাঝে লুকোচুরি খেলে তখন এই রাতই হতে পারে জীবনের ‘কালরাত’। যাকে বিয়ে করে জীবনের আপনজন হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন, সে যদি বাসর রাতেই প্রতারণা করে তাহলে সে লজ্জা লুকানোর জায়গা কোথায়?

ঠিক এমনই অবাক করা এক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ শহরে। বাসর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার ও শাশুড়ির মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেলেন নববধূ। তার পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে বাড়ির সিসি ক্যামেরায়।

জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের এক যুবকের (নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার মসজিদপাড়ার গোলাম মোস্তফা লালার মেয়ে উমাইয়া আক্তার লিথির বিয়ে হয়। নববধূকে ঘরে তোলার দিনই বাসর ঘরে স্বামীকে অজ্ঞান করে পালিয়ে যান তিনি।

এলাকাবাসী ও ছেলের পরিবার জানায়, দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২৮ জুন ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ায় লিথির বোনের বাড়িতে এ বিয়ে হয়। ওই দিনই নববধূকে শ্বশুরবাড়ি পাঠায় মেয়েপক্ষের লোকজন। পরদিন মেয়েপক্ষের দাওয়াত ছিল ছেলের বাড়ি। কিন্তু ২৮ জুন বাসর রাতে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ওই শরবত স্বামীকে খাইয়ে অজ্ঞান করেন নববধূ। এরপর রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ২০ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বিয়েতে উপহার হিসেবে পাওয়া যাবতীয় পোশাক-শাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান নববধূ। শ্বশুরবাড়ি থেকে গভীর রাতে জিনিসপত্র নিয়ে নববধূর পালিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়।

প্রতিবেশীরা জানান, শ্বশুরবাড়িতে এসেই গভীর রাতে বাসর ঘরে স্বামীকে অজ্ঞান করে পালিয়ে যান লিথি। ওই বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরায় নববধূর পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা না পড়লে তো এ ঘটনা কারও বিশ্বাস হতো না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘ছেলেকে পছন্দ হয়নি এজন্য নববধূ গভীর রাতে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ছেলের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করছি আমরা।’